Summary
প্রমথ চৌধুরী বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একজন প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক, যিনি প্রাবন্ধিক, কবি ও ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত। তার ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
তিনি ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত। সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন রীতি সূচনা করেন। তিনি প্রথম বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনা করেন এবং ছোটোগল্প ও সনেট রচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
শিক্ষা: প্রমথ চৌধুরী কলকাতা হেয়ার স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ এ পাস করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে বিএ (অনার্স) লাভের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
পারিবারিক ও কর্মজীবন: তিনি কিছুদিন আইনব্যবসা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে পড়িয়েও ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি জামাতা হিসেবে তার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
সাহিত্যকর্ম: তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাসমগ্র হল:
- তেল-নুন-লকড়ী (১৯০৬)
- বীরবলের হালখাতা (১৯১৬)
- নানাকথা (১৯১৯)
- আমাদের শিক্ষা (১৯২০)
- রায়তের কথা (১৯১৯)
- নানাচর্চা (১৯৩২)
- প্রবন্ধ সংগ্রহ (১৯৫২, ১৯৫৩)
তিনি ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
প্রমথ চৌধুরী বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, কবি ও ছোটগল্পকার। প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম ‘বীরবল’। প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তার পৈতৃক নিবাস বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসাবে পরিচিত। সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতি প্রবর্তন করেন। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনা করেন প্রমথ চৌধুরী। ছোটোগল্প ও সনেট রচনাতেও হিসেবেও তার বিশিষ্ট অবদান রয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদিত পত্রিকা সবুজপত্র এবং
বিশ্বভারতী পত্রিকা। তিনি ছিলেন বাংলা রেনেসাঁর সাহিত্যিক।
প্রমথ চৌধুরীর শিক্ষাজীবন
শিক্ষাজীবনে প্রমথ চৌধুরী ছিলেন অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি কলকাতা হেয়ার স্কুল থেকে এন্ট্রান্স ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ এ পাস করেন।
প্রমথ চৌধুরী প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৮৯ সালে দর্শনে বিএ (অনার্স) এবং ১৮৯০ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলাত যান।
বিলাত থেকে ফিরে এসে ব্যারিস্টারি পেশায় যোগদান না করে তিনি কিছুকাল ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন এবং পরে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী পদক’ লাভ করেন ।
পারিবারিক ও কর্মজীবনে প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী কিছুদিন কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা করেন। কিছুকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে পড়িয়েছেন। তিনি ঠাকুর এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড়ো ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৪২-১৯২৩) কন্যা ইন্দিরা দেবীর (১৮৭৩-১৯৬০) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে হিসেবে প্রমথ চৌধুরী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি জামাতা। লেখক আশুতোষ চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪৪) সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরীর বড়ো ভাই। রবীন্দ্রনাথের ভগিনী প্রতিভা দেবীর সহিত আশুতোষ চৌধুরী বিবাহ হয়।
প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য প্রমথ চৌধুরী বেশি বিখ্যাত। তার প্রথম প্রবন্ধ জয়দেব প্রকাশিত হয় সাধনা পত্রিকায় ১৮৯৩ সালে। প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র বাংলা সাহিত্যে চলতি ভাষারীতি প্রবর্তনে আগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তার প্রবর্তিত গদ্যরীতিতে সবুজপত্র নামে বিখ্যাত সাহিত্যপত্র ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে ইতালিয় রূপবন্ধের সনেট লিখেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বভারতী পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনাসমগ্র
প্রবন্ধ গ্রন্থ
তেল-নুন-লকড়ী (১৯০৬)
বীরবলের হালখাতা (১৯১৬)
নানাকথা (১৯১৯)
ভাষার কথা
আমাদের শিক্ষা (১৯২০)
রায়তের কথা (১৯১৯)
নানাচর্চা (১৯৩২)
প্রবন্ধ সংগ্রহ (১৯৫২ ১ম খণ্ড ও ১৯৫৩ ২য় খণ্ড)
গল্পগ্রন্থ
চার-ইয়ারী কথা (১৯১৬)
আহুতি (১৯১৯)
নীললোহিত (১৯৪১)
অনুকথা সপ্তক
ঘোষালে ত্রিকথা
কাব্যগ্রন্থ
সনেট পঞ্চাশৎ (১৯১৩)
পদচারণ (১৯১৯)
মৃত্যু
প্রমথ চৌধুরী ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ তারিখ ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
লোককে শিক্ষা দেয়া
আনন্দ দেয়া
জ্ঞানদান করা
মনোরঞ্জন করা
Read more